পোস্টগুলি

বেশি বুদ্ধি কুঁকড়িমুকড়ি মাধ্যম বুদ্ধি চিত্তরং

ছবি
          ব্যাঙের   ঈশ্বর ভাবনা বুদ্ধি পানির মধ্যে ধপ্পরং! বেশি বুদ্ধি কুঁকড়িমুকড়ি, মাধ্যম বুদ্ধি চিত্তরং, ঈশ্বর ভাবনা বুদ্ধি পানির মধ্যে ধপ্পরং। উপরোল্লিখিত লেখাভপড়ে অনেকেই ভাবছেন, কুঁকড়িমুকড়ি, চিত্তরং, ধপ্পরং এগুলো আবার কী? হ্যা পাঠক, এই তিনটে শব্দের অর্থ মাহাত্ম্য জানতে আপনাকে পোস্টের লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তা হলেই উপর বর্ণিত শব্দার্থ বুঝতে পারবেন। তার আগে বলে রাখা ভালো যে, উপর বর্ণিত তিনটি শব্দের অর্থ বোঝাতে হলে একটা গল্পের মাধ্যমে বুঝাতে হবে। তো চলুন, গল্পটা শুরু করা যাক↓↓↓ একজন সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান বলতে একটি ছেলেই ছিলো । একটি মেয়ের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে অনেক বাসনা করেছিল, কিন্তু মেয়ে আর তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বৃদ্ধ বয়সে চাকরিজীবী লোকটা মারা গেলো। মৃতব্যক্তির একমাত্র ছেলে ওয়ারিশ সূত্রে তার স্থাবর অস্থাবর টাকা-পয়সার মালিক হলো। সরকারি চাকরিজীবী লোকটা মারা যাওয়ার পর তার একমাত্র ছেলেটা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির সব  দলিলপত্র বুঝে নিলো। বিরাট বড় বাড়ি! বাড়ি ছাড়াও চাষাবাদের জমিও আছে অনেক! বাড়ির চার-পাশেই চাষাবাদের ...

একটি সমাধিস্থল মঠ ও একটা বটগাছের জন্মকথা

ছবি
ছবিটি পাগলা সাধুর সমাধিস্থলের মঠকে ঘিরে রাখা একটা বটগাছ।  একটি বটগাছের পরম মমতায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাগলা সাধুর সমাধিস্থানে নির্মিত একটি মঠ। মঠটি ঘিরে কথিত আছে অনেক জানা অজানা কথা। সেসব কথা নাহয় লেখার শেষাংশে প্রকাশ করবো। শুরুতে সুশীতল ছায়াসুনিবিড় দেববৃক্ষ বটগাছ নিয়ে কিছু লিখে জানাতে চাই। বটগাছ একটি বৃহদাকার বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ৷ আমাদের দেশের গ্রাম ও শহরে বট গাছ সাধারণত দুই প্রকারই বেশি দেখা যায়। কাঁঠালিবট ও জিরাবট৷ কাঁঠালি বটের পাতা ঠিক কাঁঠাল পাতার মতো। আর জিরাবটের পাতা পানপাতার মতো দেখা যায়। তাই দুইরকমের বটগাছের দুইটি নাম হয়েছে জিরাবট, আর কাঁঠালি বটগাছ।  কাঁঠালি বট ও জিরাবট এই দুই প্রকারের বটগাছ আমাদের দেশের শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জের আনাচে-কানাচে অনেক দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পুরানো বাড়ির দেয়ালের কার্নিশে, প্রাচীর ঘেরা দেয়ালের ফাটলে।  বাউন্ডারি দেয়ালের ফাটলে অথবা পুরোনো স্থাপনার দেয়ালে বটগাছ জন্মানোর কারণ হচ্ছে, আগেকার সময়ে সিমেন্ট না থাকার কারণে ইটের দালান তৈরি হতো, ইটের সুরকীর সাথে চুন মিশিয়ে।  ইটের সুরকীর সাথে চুন মিশিয়ে স্থাপনা তৈরি কর...

বুড়ো হলেই কি বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়?

ছবি
      বুড়ো বয়সে অনেকের আশ্রয়স্থল এই বৃদ্ধাশ্রম।  বাংলাদেশের ৮বিভাগীয় শহরের অলি, গলি, পাড়া, মহল্লার বাসা বাড়িতে অনেক বুড়ো-বুড়ি আছে। তাদের মধ্যে কেউ-না-কেউ অনেক সুখে আছেন। কেউ কেউ  আছেন খেয়ে-না-খেয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের সংসারে অতি কষ্টে। আবার অনেক বুড়ো-বুড়ি সংসারের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। আবার কেউ গেছেন ছেলে অথবা চেলের বউ কর্তৃক বৃদ্ধাশ্রমে। তো এটা সত্য যে, যাপিত জীবনে বুড়ো বয়সেই মানুষের যত ঝামেলা আর যত কষ্ট! এই কষ্ট কেউ দেখে, কেউ শুনে, কেউ নিজেই ভোগে। এই কষ্ট ভোগ করাটা কিন্তু একরকম কর্মেরই ফল! এ কেমন কর্মফল, সেটা যে ভোগে সে-ই ভালো বোঝে। তারপরও একটু চিন্তা করলে বোঝা যায় যে, নিজের মা-বাবাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, সেইরকম কষ্ট নিজেরও একদিন-না-একদিন ভোগ করতে হয়। যেমন: ❝সারাজীবন চাকরি বাকরি করে ছেলে-পেলের জন্য। চুরি দারি, আর ঘুষ খেয়ে মেদ ভূরি বাড়ায়। বাড়ি করে। প্রতি কোরবানি ঈদে বড় সাইজের গরু কিনে কুরবানি দেয়। ঈদের মার্কেট করে, সিঙ্গাপুর, নাহয় থাইল্যান্ড গিয়ে। এই ছেলে পেলেদের সুখে দিকে চেয়ে কতো গরিব মানুষকে যে ঠকায়, তার কো...

ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস ও বর্তমান ভবিষ্যত

ছবি
ডিএনডি বাঁধের বর্তমান লেক। ছবিটি বার্মাস্ট্যান্ড থেকে তোলা। প্রিয় পাঠক, আপনি জানেন কি ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস?  এবং কেন-ই-বা এই বাঁধ তৈরি করেছিলো? আর কি-ই-বা উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন সকারের? যদি আপনার জানা না থেকে, তো আমার এই লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়লে ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস এবং বর্তমান হালহকিকত সবকিছু জানতে পারবেন, আশা করি। তো চলুন শুরু করা যাক! ডিএনডি'র সারমর্ম: ডি=ঢাকা, এন=নারায়ণগঞ্জ, ডি=ডেমর। মানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা, এই তিন জায়গার কিছুকিছু অংশ জুড়ে ডিএনডি বাঁধ। যা, বর্তমান ঢাকা-৪ ও ৫ এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ সংসদীয় আসন নিয়ে ডিএনডি বাঁধের অবস্থান। ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস: জানা যায়, ১৯৬৬ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার ৮ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর জমি নিয়ে ইরীগেশন প্রকল্প তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তৎকালিক পূর্ব পাকিস্তান সরকার। যা বাস্তবায়ন করা হয় ১৯৬৮ সালে।  নামকরণ করা হয় ডিএনডি বাঁধ। তৎকালীন সরকারের উদ্দেশ্য: তখনকার সময় শুধু ইরীধান চাষের জন্যই সরকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তৎকালীন সরকারের ব্যয় হয়েছিল,২৩৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এর অভ্যন্তরে জমির পরিমাণ ...

করোনাকালে ভিনগ্রহের প্রাণী এলিয়েনের সাথে কথপোকথন

ছবি
              করোনাকালে এলিয়েনের সাথে। বলছি, করোনাকালে লকডাউনের সময়কার কথা। তখন এলাকার সব মানুষের মতো আমার অবস্থাও একইরকম হয়েছিল। সারাদিন যেমন-তেমন, রাতের  পুরোটা সময়ই একরকম সজাগ থাকতে হতো। কারণ তখন দিনের বেশিভাগ সময়ই ঘুমিয়ে থাকতাম। তাই রাতেরবেলা আর চোখে ঘুম আসতো না। সারারাত মোবাইল নাহয় ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকতে হতো। ঠিক এভাবেই চলতে গাগলো লকডাউনের আলামতের দিন আর রাতগুলো। এক রাতে মোবাইল আর ল্যাপটপ কিছুই ভালো লাগছিল না। চোখেও ঘুম আসছিল না। তখন গভীররাতে ঘরের দরজা খুলে বাইরে গেলাম। বাড়িটা অনেক বড়বাড়ি। দুইপাশে সারিবদ্ধ ভাড়াটিয়াদের থাকার ঘর। মাঝখানে ফাঁকা। মাঝখানের ফাঁকা জায়গাটা দেখতে একটা ফুটবল খেলার মাঠের মতন। সেই রাতটা ছিল ভরা পূর্ণিমা। জ্যোৎস্নার আলোতে তখন পুরো বাড়ি আলোকিত। কিন্তু বাড়ির কোনও মানুষই মনে হয় সজাগ ছিল না। সেই রাতে মনে হয় পুরো বাড়িতে আমিই একমাত্র সজাগ ছিলাম। তাও ফুটবল খেলার মাঠের মতো উঠোনে দাঁড়িয়ে আকাশ পানে চেয়ে এদিক-ওদিক দেখছিলাম!   হঠাৎ আকাশ থেকে মানুষের কঙ্কালের মতো কী যেন একটা সামনে এসে দাঁড়ালো। মনে হলো, ইউটিউবে দে...

অগণিত মাজারের দেশে গড়ে ওঠা এক মাজারের গল্প

ছবি
                      এটাও একটা মাজার।    এক মাজারের দেশে এক লোক ছিল। লোকটি ছিল খুবই গরিব। লোকটির দাদার একটা গাধা ছিল। দাদার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে গাধার মালিক হলেন লোকটির বাবা।  লোকটির বাবা ওই গাধা দিয়ে হাটবাজার থেকে ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন করে সংসারের খরচ যোগাতেন। একদিন লোকটির বাবা মৃত্যুবরণ করলেন।  সংসারে খানাওয়ালা বলতে এক মেয়ে আর স্ত্রী মিলে তিনজন। জায়গা সম্পত্তি বলতে শুধু বাড়িটা। সম্পদ বলতে বাবার রেখে যাওয়া গাধাটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না তার।  তাই লোকটি বাপদাদার রেখে যাওয়া গাধা দিয়েই বাপদাদার মতো ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন করে সংসার চালাতে লাগলো। এভাবে চলতে লাগলো লোকটির ছোট সংসার। আর বাপদাদার রেখে যাওয়া গাধাটিও দিনদিন বুড়ো হতে লাগলো। হঠাৎ একদিন গাধাটি মরে গেলো। গাদা মরে যাওয়ার পর পাড়া-পড়শিদের জিজ্ঞেস করলো, "মরা গাদাটাকে কী করা যায়?" পাড়াপড়শি বললো, "গাধা আর ঘোড়া মরে গেলে মাটিচাপা দিতে হয়। কারণ, মানুষ পচা গন্ধ, আর গাধা ঘোড়ার পচা গন্ধও এরকম। তাই গাধা ঘোড়া মারা গেলে অনেকেই মাটিচাপা (কবর) দিয়ে রাখে...

পুরোনো রেললাইনের ইতিহাস ও বর্তমান নাগিনা জোহা মহাসড়ক

ছবি
পুরোনো রেললাইন। যা ছিলো, চাষাঢ়া টু সিদ্ধিরগঞ্জ বিশ্ব গোডাউন পর্যন্ত। ছবিটি কয়েকবছর আগের তোলা।  কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল পুরোনো রেলপথ নতুন করে মহাসড়ক হবে। কোন রেলপথের বা রেললাইনের কথা? রেল-লাইনটি হলো, চাষাঢ়া টু সিদ্ধিরগঞ্জ বিশ্ব গোডাউন পর্যন্ত যেই রেলপথ বা রেল-লাইনটি ছিলো; আমি সেই রেললাইন বা রেল-পথটির কথাই বলছি! ছবিটি গোদনাইল ভূইয়া পাড়া হতে তোলা হয়েছিল। এখন সবই স্মৃতি!  কথাটি কারোর মুখের কথা নয়, খোদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় গত ২৫ মে (মঙ্গলবার) ২০২১ইং। এদিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জনানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার খানপুর হতে হাজীগঞ্জ, গোদনাইল পাঠানটুলি হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভাষা সৈনিক “বেগম নাগিনা জোহা সড়ক” নামকরণ করা হয়েছে। এই রেলপথের ইতিহাস: যেই মহাসড়কটি হতে যাচ্ছে, এই সড়কটি আগে ছিলো রেলপথ বা রেললাইন। রেললাইনটি  দেশ স্বাধীন হবার আগে শুধু নারায়ণগঞ্জ গোদনাইলস্থ বর্তমান নাম বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা (সী:) বা সংক্ষেপে "কো-অপারেটিভ" জুট প্রেসের জন্যই চাষাঢ়া...