পোস্টগুলি

ডিসএন্টেনা আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটর কারণে কি বিটিভি সহ দেশীয় চলচ্চিত্র একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে?

ছবি
কোনোএক সময়ের সাদাকালো টেলিভিশনের হুলুস্থুল শেষ হয়ে শুরু হয়েছিল কালার টেলিভিশনের সু-সময়।  সাথে ডিসএন্টেনা সংযোগ। তারপর ওয়াইফাই নামের ইন্টারনেট সংযোগে দেখা মেলে। ওয়াইফাই নামের ইন্টারনেট সংযোগের মাধমে চলে বিশাল পর্দার স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম টেলিভিশন। তাই বর্তমানে দেখা যায় দেশের আনাচে-কানাচে, ঘরে-বাইরে, হাট-বাজারে এসব টেলিভিশনের ছড়াছড়ি। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা বস্তির ঝুপড়ি ঘরেও চলছে আগেকার বাক্স মার্কা কালার টেলিভিশনের পাশাপাশি স্মার্ট টেলিভিশন। এসব টেলিভিশনের সামনে বসে ছেলে বুড়ো সবাই মনের আনন্দে রঙিন পর্দায় প্রদর্শিত কত কী উপভোগ করছে। মহল্লার গলিতে থাকা প্রতিটি মুদি দোকান, চা’র দোকানেও থাকছে টেলিভিশন নামের এই জাদুর বাক্সটা। চা পান করছে, সিগারেট ফুঁকছে, আর চোখ রাখছে টেলিভিশনের দিকে। এদের মাঝে থাকা বুড়ো বয়সের কাউকে যদি জিজ্ঞেস করি, “কেমন চলছে বর্তমান স্যাটেলাইট যুগে আমাদের দেশীয় নাটক,সিনেমা, বিটিভি’র গরম নরম খবর?« এককথায় উত্তর আসে, “না, ওইসব বেশি ভালো না! ওইসব আর এখন দেখতে ভালো লাগে না। দেশীয় টিভি চ্যানেলেও আগের মতো নাটক, পুরানো দিনের ছায়াছবি দেখানো হয় না। যদি...

নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার কিছু শব্দ

ছবি
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ রয়েছে। ৮টি বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার গ্রাম। এই ৬৮ গ্রামের মানুষ কিন্তু শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলে না। শুদ্ধ বাংলা ভাষা যে বলতে পারে না, তা কিন্তু নয়। অনেকেই শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে। তারপরও যে যেই অঞ্চলের, সে সেই অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলতে বেশি পছন্দ করে। কারণ মাটির টার আর মাতৃত্বের টান তো সবারই থাকে।  যেমন; যাদের জন্ম চট্টগ্রাম, তারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলতে পছন্দ করে। বরিশাল অঞ্চলের মানুষ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। যদিও আমার বাপদাদার ভিটেমাটি নোয়াখালী। তবুও বর্তমানে আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষ। কারণ আমি ছোটবেলা থেকেই নারায়ণগঞ্জে বসবাস করছি। তাই আমি নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করি। আর যারা  নোয়াখালীর মানুষ, তারা তাদের মাতৃভাষা নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তো আমি বাংলাদেশের গুটিকয়েক অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা কিছু জানি এবং কথাও বলতে পারি। অন্য অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা জানলেও, আমি অন্য অঞ্চলের ভাষা নিয়ে কিছু লিখছি না। আমি যেহেতু নোয়াখালীর সন্তান, তাই আমি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার কিছু শব্দের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিত...

মানুষই রাক্ষস মানুষই শয়তান

ছবি
ছোডবেলা সইন্ধ্যার পর বুড়া-বুড়িগো সামনে বইয়া হেগো মুহে শোলক(কিচ্ছা) হুনতাম। শোলক হুনতে খুব ভালা লাগত। হুনলে খালি হুনতেই মন চাইত। হুনতাম রাইক্ষস'র শোলক। হুনতাম শয়তানের শোলক। হুনতাম রাজা-প্রজা আর ধনী-গরিবগো শোলক। হেসুম খালি হুনতামই। কিন্তু তরজমা বা বিশ্লেষণ করনের মতন বয়স তহন অয় নাই দেইখ্যা হেগো মুহে শোলক হুইনাই খালি খালি চিন্তা করতাম, আর রাইক্ষসের ঢর মনের মধ্যে পুইষা রাখতাম।  হেই ঢরে সইন্ধ্যার পর আর ঘরেই তুনে বাইর অইতাম না। বেশি রাইতে যদি মুতায় ধরতো, তহন শয়তান আর রাইক্ষসের ঢরে মা'রে ডাইক্যা উঠাইতাম। মা'র লগে বাইরে যাইয়া মুইতা দুই চোক বন্ধ কইরা দৌড় দিয়া ঘরে আইতাম। হের পরও মনে অইতো এই বুঝি রাইক্ষসে আমারে খাইলো, আর শয়তানে ধরলো!  অহনে বড় অইছি। বুজের অইছি। হগল কিছু বুঝি, জানি। হিল্লাইগা অহনে আর হেসব শোলক কিচ্ছা হুনি না। কারোর মুহে হুনলেও আঁইস উডে। হুইন্না একলা একলাই আঁসতে থাহি, আর ভাবতে থাহি। অহনে বুঝি ঐ রাইক্ষস-টাইক্ষস হাছা বইলতে কিচ্ছু নাই। মাইনষের তুনে বড় রাইক্ষস এই দুইন্নাত আর কিচ্ছু নাই। আর ঐ যে শয়তান? মাইনষের তুনে বড় কুনো শয়তানও নাই। কাজেই কথার কথা অইলো  মানুষই ...

দুইদিনের দুনিয়ায়

ছবি
দু'দিনের দুনিয়াদারি, দেখলাম কতো বাহাদুরি  কেউ দেয় হামাগুড়ি, কেউ করে আহাজারি  কারোর ভাঙা ঘর, কারোর বিশাল বাড়ি কেউ থাকে না খেয়ে, কেউ কিনে গাড়ি।  কেউ করে হাড়ভাঙা পরিশ্রম, কেউ থাকে ধান্দায় কেউ থাকে রাজপ্রাসাদে, কেউ ভাসে বন্যায়  কেউ দেখায় ক্ষমতা, কেউ ভাঙে কান্নায়  চলছে দু'দিনের দুনিয়াতে সকাল সন্ধ্যায়।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৭/০৫/২০২৩ইং।

ছোটবেলার স্মৃতিগুলো

ছবি
মন বলে আজ ফিরে যাই সেই ছোটেলায়  যেসময় কেটেছিল দিনগুলো খেলায় খেলায় ঘুরেফিরে কেটেছিল সময় মেলায় মেলায় দিন মাস বছর ফুরিয়েছে হেলায় হেলায়। মন বলে আজ সময়তো বেশি নেই হাতে যেটুকু সময় ছিল তা হয়েছে শেষ অজান্তে  তবুও যে হায় মন চলে যায় সেই ছোটবেলাতে জীবনের শেষ সময়েও পারিনা মনটাকে মানাতে।  তা কি হায় সেখানে কি আর ফিরে যাওয়া যায়? ফিরে দেখা যায়, স্মৃতিগুলো যে মনের মণিকোঠায় স্মৃতিগুলো যাবেনা মুছে, যদিও চলে যাই ঐ চিতায় স্মৃতিগুলো রয়েই যাবে যখন থাকবো না দুনিয়ায়।  প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৭/০৫/২০২৩ইং।

ফেসবুকে ট্যাগ কখন করবেন এবং কাকে করবেন?

ছবি
অনেকেই আছেন যারা অনেক দিন ধরেই ফেসবুক ব্যবহার করেই যাচ্ছেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা রাতদুপুরে মেসেজ দিয়েই যাচ্ছেন, দিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু বন্ধু তালিকায় থাকা বন্ধুদের পোস্টে ভুলেও লাইক/কমেন্ট করছেন না! এমনকি মাসে একবারও চুপি দিয়ে দেখছেন না, বন্ধুটি কি পোস্ট করেছে। লাইক/কমেন্ট তো দূরেরই কথা! আবার নিজের একটা ভালোলাগা ভিডিও মেসেঞ্জারে প্রেরণ করছেন। ভাবছেন না যে, আমি যেটা পছন্দ করছি বা আমার যেটা পছন্দ, সেটা আমি যাকে প্রেরণ করছি, তার কাছে ভালো লাগবে কিনা! আপনার পছন্দের ভিডিও আপনার প্রিয় বন্ধুটির কাছে সেটা ভালো না-ও লাগতে পারে। সেটা না ভেবেই নিজের ইচ্ছেমতো বলা নেই কয়া নেই, সময় নেই গময় নেই; দিনরাত মেসেঞ্জারে বিরক্ত করেই যাচ্ছেন। এতে নিজের কাছে ভালো লাগলেও, তা অন্যের কাছে হতে পারে বড়ই বিরক্তির বা অশান্তির মহৌষধ! তবে হ্যাঁ, মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করবেন। কখন এবং কেন করেন? যখন আপনার বিশেষ প্রযোজন হবে, তখন মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করতে পারেন। নিজের আত্মীয় স্বজনদের ছবি নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠাতে পারেন। জরুরি কোন সংবাদ প্রাপকের ইচ্ছায় প্রেরণ করতে পারেন। এছাড়া তো কোন অবস...

কান্নার প্রতিযোগিতা

ছবি
করোনা কালে চলছে কান্নার প্রতিযোগিতা, কান্নার চাপে হারিয়ে গেছে সহমর্মিতা কাঁদছে কবিদের লেখা কবিতা কাঁদছে বিশ্বের মানবিকতা পর্যটনে নীরব নিস্তব্ধতা  কান্নার প্রতিযোগিতা। কান্নার প্রতিযোগিতায়, কাঁদে স্বজন হারানোর বেদনায় কেউ কাঁদে ভুগে ঘাতক করোনায় কেউ কাঁদে দ্বারে-দ্বারে ক্ষুধার জ্বালায় কাউ কাঁদে রাস্তায় সন্তানের অবহেলায় কেউ কেউ নীরবে কাঁদে ধুঁকে ধুঁকে লজ্জায়। কাঁদছে কেউ নিজের আখের গোছানোর ধান্দায়, টাকার পাহাড় গড়তে কাঁদছে বসে অট্টালিকায় জনপ্রতিনিধিরা চোখ মুছে চালের বস্তায় কেউ কাঁদার অভিনয়ে পরকে ঠকায় অসাধু ব্যক্তিরা সুযোগে কাঁদায় কন্নার প্রতিযোগিতায়। কান্নার প্রতিযোগিতায়, কান্নায় ভেঙে পড়ছে নমুনা পরীক্ষায় কান্না থামছে না হাসপাতালের বারান্দায় চলছে কান্নার প্রতিযোগিতা জায়গায় জায়গায়  কেউ কাঁদে সুখে, কেউ কাঁদে দুখে, কেউ কাঁদে ধান্দায়  প্রতিদিন নতুন করে যোগ হচ্ছে কান্নার প্রতিযোগিতায়। প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।   নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনালা ব্লগ  ও  শব্দনীড় ব্লগ। ০৬/০৫/২০২৩ইং।