পোস্টগুলি

ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস ও বর্তমান ভবিষ্যত

ছবি
ডিএনডি বাঁধের বর্তমান লেক। ছবিটি বার্মাস্ট্যান্ড থেকে তোলা। প্রিয় পাঠক, আপনি জানেন কি ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস?  এবং কেন-ই-বা এই বাঁধ তৈরি করেছিলো? আর কি-ই-বা উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন সকারের? যদি আপনার জানা না থেকে, তো আমার এই লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়লে ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস এবং বর্তমান হালহকিকত সবকিছু জানতে পারবেন, আশা করি। তো চলুন শুরু করা যাক! ডিএনডি'র সারমর্ম: ডি=ঢাকা, এন=নারায়ণগঞ্জ, ডি=ডেমর। মানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা, এই তিন জায়গার কিছুকিছু অংশ জুড়ে ডিএনডি বাঁধ। যা, বর্তমান ঢাকা-৪ ও ৫ এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ সংসদীয় আসন নিয়ে ডিএনডি বাঁধের অবস্থান। ডিএনডি বাঁধের ইতিহাস: জানা যায়, ১৯৬৬ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার ৮ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর জমি নিয়ে ইরীগেশন প্রকল্প তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তৎকালিক পূর্ব পাকিস্তান সরকার। যা বাস্তবায়ন করা হয় ১৯৬৮ সালে।  নামকরণ করা হয় ডিএনডি বাঁধ। তৎকালীন সরকারের উদ্দেশ্য: তখনকার সময় শুধু ইরীধান চাষের জন্যই সরকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তৎকালীন সরকারের ব্যয় হয়েছিল,২৩৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এর অভ্যন্তরে জমির পরিমাণ ...

করোনাকালে ভিনগ্রহের প্রাণী এলিয়েনের সাথে কথপোকথন

ছবি
              করোনাকালে এলিয়েনের সাথে। বলছি, করোনাকালে লকডাউনের সময়কার কথা। তখন এলাকার সব মানুষের মতো আমার অবস্থাও একইরকম হয়েছিল। সারাদিন যেমন-তেমন, রাতের  পুরোটা সময়ই একরকম সজাগ থাকতে হতো। কারণ তখন দিনের বেশিভাগ সময়ই ঘুমিয়ে থাকতাম। তাই রাতেরবেলা আর চোখে ঘুম আসতো না। সারারাত মোবাইল নাহয় ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকতে হতো। ঠিক এভাবেই চলতে গাগলো লকডাউনের আলামতের দিন আর রাতগুলো। এক রাতে মোবাইল আর ল্যাপটপ কিছুই ভালো লাগছিল না। চোখেও ঘুম আসছিল না। তখন গভীররাতে ঘরের দরজা খুলে বাইরে গেলাম। বাড়িটা অনেক বড়বাড়ি। দুইপাশে সারিবদ্ধ ভাড়াটিয়াদের থাকার ঘর। মাঝখানে ফাঁকা। মাঝখানের ফাঁকা জায়গাটা দেখতে একটা ফুটবল খেলার মাঠের মতন। সেই রাতটা ছিল ভরা পূর্ণিমা। জ্যোৎস্নার আলোতে তখন পুরো বাড়ি আলোকিত। কিন্তু বাড়ির কোনও মানুষই মনে হয় সজাগ ছিল না। সেই রাতে মনে হয় পুরো বাড়িতে আমিই একমাত্র সজাগ ছিলাম। তাও ফুটবল খেলার মাঠের মতো উঠোনে দাঁড়িয়ে আকাশ পানে চেয়ে এদিক-ওদিক দেখছিলাম!   হঠাৎ আকাশ থেকে মানুষের কঙ্কালের মতো কী যেন একটা সামনে এসে দাঁড়ালো। মনে হলো, ইউটিউবে দে...

অগণিত মাজারের দেশে গড়ে ওঠা এক মাজারের গল্প

ছবি
                      এটাও একটা মাজার।    এক মাজারের দেশে এক লোক ছিল। লোকটি ছিল খুবই গরিব। লোকটির দাদার একটা গাধা ছিল। দাদার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে গাধার মালিক হলেন লোকটির বাবা।  লোকটির বাবা ওই গাধা দিয়ে হাটবাজার থেকে ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন করে সংসারের খরচ যোগাতেন। একদিন লোকটির বাবা মৃত্যুবরণ করলেন।  সংসারে খানাওয়ালা বলতে এক মেয়ে আর স্ত্রী মিলে তিনজন। জায়গা সম্পত্তি বলতে শুধু বাড়িটা। সম্পদ বলতে বাবার রেখে যাওয়া গাধাটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না তার।  তাই লোকটি বাপদাদার রেখে যাওয়া গাধা দিয়েই বাপদাদার মতো ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন করে সংসার চালাতে লাগলো। এভাবে চলতে লাগলো লোকটির ছোট সংসার। আর বাপদাদার রেখে যাওয়া গাধাটিও দিনদিন বুড়ো হতে লাগলো। হঠাৎ একদিন গাধাটি মরে গেলো। গাদা মরে যাওয়ার পর পাড়া-পড়শিদের জিজ্ঞেস করলো, "মরা গাদাটাকে কী করা যায়?" পাড়াপড়শি বললো, "গাধা আর ঘোড়া মরে গেলে মাটিচাপা দিতে হয়। কারণ, মানুষ পচা গন্ধ, আর গাধা ঘোড়ার পচা গন্ধও এরকম। তাই গাধা ঘোড়া মারা গেলে অনেকেই মাটিচাপা (কবর) দিয়ে রাখে...

পুরোনো রেললাইনের ইতিহাস ও বর্তমান নাগিনা জোহা মহাসড়ক

ছবি
পুরোনো রেললাইন। যা ছিলো, চাষাঢ়া টু সিদ্ধিরগঞ্জ বিশ্ব গোডাউন পর্যন্ত। ছবিটি কয়েকবছর আগের তোলা।  কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল পুরোনো রেলপথ নতুন করে মহাসড়ক হবে। কোন রেলপথের বা রেললাইনের কথা? রেল-লাইনটি হলো, চাষাঢ়া টু সিদ্ধিরগঞ্জ বিশ্ব গোডাউন পর্যন্ত যেই রেলপথ বা রেল-লাইনটি ছিলো; আমি সেই রেললাইন বা রেল-পথটির কথাই বলছি! ছবিটি গোদনাইল ভূইয়া পাড়া হতে তোলা হয়েছিল। এখন সবই স্মৃতি!  কথাটি কারোর মুখের কথা নয়, খোদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় গত ২৫ মে (মঙ্গলবার) ২০২১ইং। এদিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জনানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার খানপুর হতে হাজীগঞ্জ, গোদনাইল পাঠানটুলি হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভাষা সৈনিক “বেগম নাগিনা জোহা সড়ক” নামকরণ করা হয়েছে। এই রেলপথের ইতিহাস: যেই মহাসড়কটি হতে যাচ্ছে, এই সড়কটি আগে ছিলো রেলপথ বা রেললাইন। রেললাইনটি  দেশ স্বাধীন হবার আগে শুধু নারায়ণগঞ্জ গোদনাইলস্থ বর্তমান নাম বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা (সী:) বা সংক্ষেপে "কো-অপারেটিভ" জুট প্রেসের জন্যই চাষাঢ়া...

মুজিবের জন্মে বাংলাদেশ

ছবি
                      মুজিব শতবর্ষ  মুজিব নামের এই মানুষটি  যদি জন্ম না হতো, বাংলাদেশ নামের এই দেশটি  কখনো না হতো।  হয়তো বা হতো অন্য নামে অনেক যন্ত্রণার পরে, হয়তো বা দেশটা হতো স্বাধীন  আরও অনেক রক্ত ঝরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ডাক, ঝাপিয়ে পড়লো বাঙালিরা  জীবন থাক আর যাক। মাত্র নয় মাস যুদ্ধ শেষে  হয়েছে স্বাধীন এ দেশ, মুজিব হলেন জাতির পিতা  আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৮/০৫/২০২৩ইং।

দুঃখ আমার চিরসাথী হাসি আমার জীবনসঙ্গী

ছবি
      দুঃখ আমার চিরসাথী, হাসি আমার জীবনসঙ্গী!   জন্ম থেকেই দুখী আমি। তাই দুঃখকে খুবই ভালোবেসে ফেলেছি। দুঃখও আমাকে ভালোবাসে। আমি যেমন দুঃখ ছাড়া চলতেই পারি না, দুঃখও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না। দুঃখটাকে ভুলে থাকার জন্য আমি অনেকবার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখকে ভুলতে পারিনি।  একবার দুঃখকে প্রিয় জন্মভূমিতে রেখে ভারত গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, দুঃখ আর আমার নাগাড় পাবে না। আমি সুখ নিয়ে মহা সুখে থাকবো। কিন্তু না, জন্মভূমির দুঃখ সাথে না গেলেও, আমি ভারতে পা রাখার পরপর ভারতের দুঃখ আমাকে আশ্রয় করে ফেললো। সুখের আশায় ভারত গেলে আর কী হবে, ঐ দেশের সুখ আমার জীবনে খাপ খাওয়াতে পারিনি। অবশেষে যে-ক'দিন ভারতে ছিলাম, ভারতের দুঃখকে সাথী করেই ছিলাম। অবশেষে ভারত থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেই আবার নিজ দেশের দুঃখকে সাথী করে নিলাম।  তারপরও জীবন চলার মাঝে যখন এই পৃথিবীর আলোকিত মানুষগুলো দেখি! তাদের সুখও  দেখি! তখন ইচ্ছে হয় নিজেও একবার জীবনটাকে আলোকিত করতে। কিন্তু জীবনটাকে আলোকিত করার জন্য এতো আলো কোথায় পাই? এ নিয়ে নিজে নিজেই ভাবি! ভাবতে ভাবতে আলোর দেবতা সূর্যদেবের কথা মনে প...

মোগল স্থাপত্য বিবি মরিয়ম মাজার রয়ে গেলো আড়ালে আবডালে

ছবি
        হযরত বিবি মরিয়ম মাজার। নারায়ণগঞ্জ।  একসময় নারায়ণগঞ্জের নাম ছিল বিশ্বজুড়ে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে সুপরিচিত। নারায়ণগঞ্জে মোগল আমলের স্থাপত্য এখনো অনেক জায়গায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আছে ঈশা খাঁর রাজধানী নামে খ্যাত সোনারগাঁও-এর পানাম নগরীর পুরানো স্থাপত্য, ঈশা খাঁর স্ত্রী সোনাবিবির মাজার, পাঁচবিবির মাজার, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধি, ইব্রাহীম দানিশমান্দ-এর দরগা, বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের কদম রসূল দরগাহ-সহ হাজীগঞ্জ কেল্লা। তারমধ্যে একটি হলো হযরত বিবি মরিয়ম সমাধিসৌধ বা হযরত বিবি মরয়ম মাজার।  হযরত বিবি মরিয়ম মাজার। কিল্লার পুল, নারায়ণগঞ্জ।   এই সমাধিসৌধটি স্থানীয় মানুষের কাছে বিবি মরিয়ম মাজার নামেই বেশি সুপরিচিত। বিবি মরিয়ম সমাধি বা মাজারটি নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকার কিল্লারপুল ঘেঁষা অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জ টু ডেমরা-চিটাগাং রোড আসা-যাওয়ার মাঝপথেই কিল্লার পুল ও বিবি মরিয়ম মাজারটির অবস্থান। কিল্লার পুল হলো নারায়ণগঞ্জের একটা ঐতিহ্যবাহী পুল। যা হাজীগঞ্জ কেল্লার নামে নামকর...